শায়েখ নাসির উদ্দিন আলবানী এর pdf বই সমূহ


শায়েখ নাসির উদ্দিন আলবানী এর কিছু উপদেশ

কুরআন শিক্ষা প্রসঙ্গে :

‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যে কুরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়’ হাদীছটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুরআনের শিক্ষক হ’লেন সর্বোত্তম শিক্ষক এবং মানুষ যা কিছু শিক্ষা করে তার মধ্যে সর্বোত্তম হ’ল কুরআন শিক্ষা করা। হায়! শিক্ষার্থীরা যদি এ সম্পর্কে জানতো, তাহ’লে তাদের জন্য বিরাট উপকার নিহিত ছিল। বর্তমান যুগে যে সমস্যা ব্যাপকতা লাভ করেছে সেটা হ’ল, তুমি বহু দাঈ এবং জ্ঞানান্বেষীকে দেখতে পাবে যারা দাওয়াত, ফৎওয়া ও মানুষের প্রশ্নের জবাবদানে তৎপর ভূমিকা রাখছে, অথচ তারা সুন্দরভাবে মাখরাজ সহকারে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করতে পারে না। কখনো তারা س কে ص, ط কে ت, ذ কে ز কিংবা ث কে س -এর মত উচ্চারণ করছে। কখনো সংগোপন উচ্চারণের স্থলে স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করছে। অথচ তাদের জন্য কুরআন হেফয করার চেয়ে কুরআন সুন্দরভাবে পড়তে শেখা একান্ত যরূরী। যাতে দ্বীনের দাওয়াত দান, পাঠদান ও ওয়ায-নছীহতের সময় সুন্দরভাবে আয়াত চয়ন এবং তা দ্বারা দলীল পেশ করতে পারে। তুমি তাদেরকে হাদীছ ছহীহ-যঈফ, ওলামায়ে কেরামের মতামত রদ এবং বিভিন্ন মতের মধ্যে তারজীহ দিতে দেখবে। দেখবে সর্বদা তাদের জ্ঞানের স্তরের চেয়ে উচ্চ স্তরের কোন বিষয়ে কথা বলতে। কখনো দেখবে তারা বলছে, ‘আমি এটা মনে করি’, ‘আমি বলি’, ‘এ বিষয়ে এটা আমার বক্তব্য’ অথবা ‘এ মতটিই আমার নিকটে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত!’

আশ্চর্যের বিষয় হ’ল, তুমি তাদের অধিকাংশকে কখনো ওলামায়ে কেরামের মতৈক্যপূর্ণ মাসআলা নিয়ে আলোচনা করতে দেখবে না; বরং সর্বদাই দেখবে তারা বিরোধপূর্ণ মাসআলা নিয়ে আলোচনা করছে। এমনকি বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে তুলনামূলক আলোচনায় লিপ্ত হচ্ছে, আর কঠিন হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন মতামত থেকে একটিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। আমি আল্লাহর নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এ ধরনের লোকপ্রদর্শনী ও লোক শুনানোর লালসা এবং আত্মপ্রচারমুখী মনোভাব থেকে। আমি প্রথমে নিজেকে তারপর ঐসব ব্যক্তিদেরকে উপদেশ দিচ্ছি এ মর্মে যে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য পবিত্র কুরআন হেফয করার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন শুরু করা উত্তম। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাকে কুরআনের সাহায্যে উপদেশ দাও’ (ক্বাফ ৫)। (আদ-দুরার আল-গাওয়ালী মিন কালামিল আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানী, পৃঃ ২৪৫)


আমল দ্বারা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা : প্রত্যেক মুজাহিদ এবং আলেমের জন্য আবশ্যক হ’ল তারা তাদের কার্যক্রমের জন্য কোন প্রতিদান বা শুকরিয়া কামনা করবেন না। এখানে উভয়েই আল্লাহর পথে জিহাদ করছেন। একজন স্বীয় ইলম দ্বারা। অপরজন স্বীয় বীরত্ব, শক্তি এবং সাহসিকতার দ্বারা। তাই এখানে প্রকৃত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহ’লে তার পরিণাম হবে অজ্ঞ ব্যক্তির পরিণামের চেয়েও ভয়াবহ। আবুদ্দারদা (রাঃ) হ’তে একটি আছার বর্ণিত হয়েছে, ويل للجاهل مرت وويل للعالم سبع مرات ‘জাহেলের জন্য একগুণ ধ্বংস কিন্তু আলেমের জন্য সাতগুণ ধ্বংস নির্ধারিত’। এখানে সাতগুণ দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, আলেম ইলম থাকার কারণে অধিক শাস্তির সম্মুখীন হবেন। (সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর ১/১৪৯, ২৬০, ২৯১; ইয়াদ মুহাম্মাদ ছালেহ, মানহাজুল আলবানী ১৪১-১৪৩ পৃঃ)

ফৎওয়া প্রসঙ্গে :

أن الإستعجال في الفتيا من مصائب زماننا ‘তড়িঘড়ি কোন বিষয়ে ফৎওয়া দেওয়া এযুগের একটি বড় মুছীবত’ (সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর ১/৩০৬)


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে :

আল-বায়ান পত্রিকার সম্পাদক এক সাক্ষাৎকারে শায়খ আলবানীকে জিজ্ঞেস করেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু মানুষ সমালোচনা করে এবং অভিযোগ করে যে সেখান থেকে বিজ্ঞ আলেম বের হচ্ছে না। আপনার মতে আদর্শ শিক্ষাপদ্ধতি কি?

উত্তরে তিনি বলেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ই আলেম বের করার ক্ষমতা রাখে না। বরং ছাত্রদেরকে আলেম হওয়ার জন্য ক্ষেত্র প্রস্ত্তত করে দেয় মাত্র। এটা সত্য যে, যারা এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফারেগ হচ্ছে তারা পরবর্তীতে নিজ নিজ কর্তব্যের উপর দৃঢ় থাকতে পারছে না। তারা জ্ঞানকে কাজে লাগানোর জন্য যেসব নিয়ম-পদ্ধতি ও দিক-নির্দেশনা তাদের শিক্ষকদের থেকে অর্জন করেছে তদনুসারে কাজ করছে না। সেইসাথে লেখনী, বক্তব্য ও প্রকাশনার মধ্য দিয়ে জ্ঞানের পরিপক্কতা লাভের চেষ্টাও তাদের মধ্যে নেই। বরং অধিকাংশের লক্ষ্যবস্ত্ত হয়ে যাচ্ছে কোথাও শিক্ষক হওয়া অথবা কোন দেশে গিয়ে বড় চাকুরীতে যোগদান করা। আসলে আজ মুসলিম আলেমদের সবচেয়ে বড় মুছীবত হ’ল তাদের মধ্য থেকে তাক্বওয়া এবং জ্ঞানের চর্চা হারিয়ে যাওয়া। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সবাই এ ব্যাপারে একমত যে, শুধুমাত্র জ্ঞানার্জন করে বসে থাকলে তা যথেষ্ট হয় না, বরং তা জ্ঞানার্জনকারীর জন্য ক্ষতিই বয়ে আনে (মাজাল্লাতুল বায়ান, ৩৩ তম সংখ্যা, রবীউল আখের ১৪১১ হিঃ)

শায়েখ নাসির উদ্দিন আলবানী এর pdf  বই সমূহ ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।

  1. আপনার হজ্ব শুদ্ধ হচ্ছে কি – মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী
  2. ইলমে হাদিসের গুরুত্ব ও মর্যাদা – শাইখ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
  3. ইসলাম প্রচারক ভাই প্রথমে তাওহীদের দাওয়াত দিন – মুহাম্মদ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
  4. ইসলাম বিরোধী আইন জারীর বিধান ও ফিতনাতুত তাকফীর – শাইখ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
  5. ইসলামে হাদীসের গুরুত্ব ও মর্যাদা – শাইখ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
  6. ঈদের সালাত ঈদগাহে পড়তে হবে কেন – আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী
  7. কবর ও মাজার সংলগ্ন মাসজিদে সালাত আদায়ে সতর্ক হোন – শাইখ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী
  8. তারাবীহ ও ইতিকাফ – শাইখ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
  9. দাজ্জাল ! মাসীহ দাজ্জালের কিসসা – শাইখ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
  10. নবী সাঃ যেভাবে হজ্জ করেছেন – মুহাম্মদ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
  11. নয়টি প্রশ্নের উত্তর – শাইখ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী
  12. প্রত্যেক মাযহাবে সুন্নাহ বিরোধী ফাতওয়া আজ কেন বিদ্যামান – শাইখ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী
  13. বাসর রাতের আদর্শ – শাইখ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী
  14. মৃত্যু রোগ থেকে শুরু করে মৃত ব্যাক্তি কেন্দ্রিক মৃত্যের যাবতীয় করনীয় ও বর্জনীয়
  15. রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামায ১ম ও ২য় খণ্ড – নাসিরুদ্দিন আলবানী ও এ এন এম সিরাজুল ইসলাম
  16. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি – শাইখ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
  17. সালাতুত তারাবীহ – শাইখ নাসেরুদ্দিন আল আলবানী

Post a Comment

Previous Post Next Post